বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুলেট-বোমা ও মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে সিনেমাটিক বাস্তবতার চেয়েও বেশি ঝঞ্ঝামুখর ও সংগ্রামময়। অনেক বেশি আত্মত্যাগ পূর্ণ এবং অনেক বেশি সাফল্য মন্ডিত। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের একজন তরুণ যখন একান্ত ব্যক্তিগত স্বপ্ন পূরণের কথাভাবে একজন আইকনিক প্রধানমন্ত্রীর মুখচ্ছবি আমাদের মানসপটে ভেসে উঠে। শেখ হাসিনা মানে জীবন যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার অনুপ্রেরণা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ পর্যন্ত 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক শোভাযাত্রা ও পরবর্তীতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হন। 'শেখ হাসিনা এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে; শেখ হাসিনার জন্য, বাংলাদেশ ধন্য; যোগ্য পিতার যোগ্য কণ্যা/ গণতন্ত্রের মানসকন্যা, শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা'- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছেন উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, একসময় শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেতো না। পুরাতন ছেঁড়া বই নিয়ে লেখাপড়া করতে হতো। কিন্তু আজকে সকল শিক্ষার্থী স্কুলের প্রথম দিনেই নতুন বই পাচ্ছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ লণ্ঠনের আলোয় পড়াশোনা করেছে। কিন্তু বর্তমানে সবাই বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করছে। ২০০৪-০৫ সালের দিকে একজন প্রাইমারি শিক্ষকের বেতন ছিলো আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণেই এই ভুখন্ডের পরিবর্তন হয়েছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের গণ নায়ক, দিন বদলের সত্যিকারের সারথী।
তিনি বলেন, যারা বলেছিলো টেক ব্যাক বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে ‘রেডকার্ড’ দেখিয়েছে। আগে যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলেছিলো ত্রুটিপূর্ণ, তারাই গতকাল বলছে ‘আস্থার পূণনির্মাণ’। মৌসুমি জলবায়ুর বাংলাদেশে যারা বলেছিলো ‘লু’ হাওয়া বইবে, তারা দেখেছে দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। যার মাধ্যমেই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক বাবু সজল কুন্ডু, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।