কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাবের হেফাজতে সুরাইয়া বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে র্যাব-১৪ সিপিসি-২-এর হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।
সুরাইয়া বেগম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বরুনাকান্দি গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। এই মাসের ১৩ তারিখে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে পুত্রবধূ রেখা আক্তার হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি।
র্যাবের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি মে মাসের ১৩ তারিখে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বরুনাকান্দি গ্রামের যৌতুকের দাবিতে রেখা বেমন নামের কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে স্বামী তাইজুল ইসলাম, শাশুড়ি সুরাইয়া বেগম ও শ্বশুর আজিজুল হকের বিরুদ্ধে।
নিহত রেখার মা রামিসা খাতুন বাদী হয়ে এই তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যায় জড়িত ৩ নং আসামি সুরাইয়াকে নান্দাইল থেকে এবং ১ নং আসামি তাইজুলকে ঢাকা থেকে আটক করে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
রাতে কোন এক সময় সুরাইয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। র্যাব হেফাজতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পড়ে তাকে সকাল ৭ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিনিতা দাস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ব্যাপারে চিকিৎসক বিনিতা দাস বলেন, সকাল ৭টার দিকে র্যাব সুরাইয়া বেগম নামের এক নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করি। কারণ তাকে মৃতই হাসপাতালে আনা হয়।
এই ব্যাপারে র্যাব-১৪ সিপিসি -২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।