সাভারে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে এক রিকশাচালকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে। অন্য রিকশাচলকদের অভিযোগ, ওই ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সপ্তাহে রিকশাপ্রতি এক হাজার টাকা আদায় করতেন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই পুলিশকে ঘিরে ধরলে ভুল হয়েছে বলে স্বীকারও চিকিৎসা করানো সুযোগ চেয়েছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, আহতকে একটি রিকশায় তুলে দিয়ে সটকে পড়েছেন ওই ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনায় একটি আঞ্চলিক সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা।
আহত রিকশাচালককে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সাভার সুপার ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই রিকশাচালকের নাম মো. ফজলু। তিনি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বনসাপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ২২ বছর ধরে তিনি সাভারে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম মো. সোহেল রানা। তিনি ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের র্যাকার চালক।
ভুক্তভোগী ফজলু বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় পাকিজার সামনে থেকে মোটরসাইকেল যোগে র্যাকার চালক সোহেলসহ দুই জন ধাওয়া করেন। রিকশা থামাতে বললে সাইড করে থামাই। এরপর তিনি লোহার রড দিয়ে প্রথমে বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করতে চাইলে ডান পা পিটিয়ে ভেঙে দেন। এতে পড়ে গেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারি নাই। পেটানো দেখে স্থানীয়রা এসে ওই পুলিশকে ঘিরে ধরে।
ফজলু জানান, স্থানীয়দের দেখে ট্রাফিক পুলিশ সোহেল সবার উদ্দেশ্য বলেন, আমি ভুল করেছি, এখন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে দেন। পরে স্থানীয়রা চলে যায়। কিন্তু আমাকে অপর একটি রিকশায় তুলে দিয়ে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে তিনিও চলে যান। আমি এর বিচার চাই।
রুবেল নামে আরেক রিকশাচালক জানান, ফজলুকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সময় র্যাকার চালকদের সঙ্গে থেকে অটোরিকশা আটক করা দুই দালাল আবারো গতিরোধ করেন। পরে অন্য রিকশাচালকরা বিষয়টি জানতে পেরে প্রেস ক্লাবের সামনে থানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এব্যপারে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক ও ক্রাইম আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, কিছু একটা ঝামেলা হয়তো হয়েছে। কেন এভাবে পেটানো হলো, ওই রিকশাচালক যদি পঙ্গু হয়ে যায় তার দায়-দায়িত্ব কাদের; এই প্রশ্নগুলো তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দিতে পারেন নাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী।
তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।