ফল আমদানির আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে সিগারেট চোরাচালানের একটি বড় চেষ্টাকে ভেস্তে দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২১ মে দিবাগত রাতে মিসর থেকে মাল্টা আমদানির ঘোষণা দিয়ে আসা একটি ৪০ ফুট কনটেইনার খুলে দেখা যায়, সেখানে সারি সারি বিদেশি সিগারেট কার্টন রাখা হয়েছে। আজ (২২ মে) গণনা শেষে কাস্টমস জানায়, কনটেইনারে ছিল ১ হাজার ২৫০ কার্টনে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট, যার পেছনে সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির পরিকল্পনা ছিল।
ঘটনাস্থলে থাকা শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারে কিছু মাল্টাও ছিল—৫ হাজার ৪১৮ কেজি—যা মূলত আমদানির ছদ্মাবরণ তৈরি করতেই ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে সিগারেট আমদানিতে প্যাকেটে বাংলায় সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক এবং আমদানিতে ৫৯৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়।
আমদানি নথি অনুযায়ী, ঢাকার মালিবাগের আহসান করপোরেশন এই চালান আমদানি করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টুসিয়া ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রুটস কোম্পানি থেকে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটির আগে কোনো আমদানি কার্যক্রম নেই। ক্লিয়ারিং এজেন্ট ‘দিবা ট্রেডিং লিমিটেড’ দাবি করেছে, এটি আহসান করপোরেশনের প্রথম চালান, কাগজপত্র দেখে দায়িত্ব নিয়েছিল তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার কাজী রাইহানুজ জামান জানান, “প্রায় ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি চেষ্টার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কাস্টমস ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা। দোষীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
thebgbd.com/NA