ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আমিরাতে তাপমাত্রার রেকর্ড

জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ মরুভূমির এই দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপমাত্রার পর এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
  • | ২৪ মে, ২০২৫
আমিরাতে তাপমাত্রার রেকর্ড তাপমাত্রা ৫০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে আবহাওয়া তথ্য নথিভুক্ত করার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর শুক্রবার মে মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুবাই থেকে এএফপি জানায়, শুক্রবার সংস্থাটি এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, আজ দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে আল শাওমেখ (আবুধাবি) তে তাপমাত্রা ৫০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। 


জলবায়ু পরিবর্তনে তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ মরুভূমির এই দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপমাত্রার পর এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শুক্রবারের নামাজে মুসল্লিরা দুর্বল বোধ এবং অস্থিরতার অনুভব করার কথা জানিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত এমন একটি দেশ যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি।


বিশ্বের অন্যতম উষ্ণতম অঞ্চলে অবস্থিত তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রের রাজধানী আবুধাবির একটি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আজ আবহাওয়া অত্যন্ত গরম ছিল, ‘অসহনীয়’। গরমের কারণে মসজিদে দেরিতে পৌঁছেছেন এবং বাইরে নামাজ পড়তে হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নামাজ শেষে ঘামে ভিজে গিয়েছি’। তিনি আরও বলেন, তার মনে হচ্ছিল তিনি ‘অজ্ঞান হয়ে যাবেন’।


জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র এএফপিকে জানিয়েছে, ২০০৩ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে মে মাসে ৫০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২.৭ ফারেনহাইট) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, যা ২০০৯ সালের সর্বোচ্চ ৫০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল রপ্তানিকারক এবং ২০২৩ সালে কপ২৮ জলবায়ু আলোচনার আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত, এপ্রিল মাসে গড়ে দৈনিক সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল।


শুক্রবার এনএমসি বাসিন্দাদের নিরাপদ থাকার আহ্বান জানিয়েছে, তাদের রোদ থেকে দূরে থাকার, প্রচুর পরিমাণে তরল পান করার, উপযুক্ত পোশাক পরার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। শুক্রবারের তাপমাত্রার সাথে আবুধাবির কিছু অংশে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ আর্দ্রতা ছিল। 


২০২২ সালে গ্রিনপিসের এক গবেষণা অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মধ্যপ্রাচ্য পানি ও খাদ্য ঘাটতির পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ছয়টি দেশের ওপর তৈরি এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই অঞ্চলটি বিশ্বব্যাপী গড়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে, যার ফলে এর খাদ্য ও পানি সরবরাহ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে।


সূত্র: এএফপি 


এসজেড