আজ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পাঁচ বছর। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নানা আয়োজনে তাকে স্মরণ করা হচ্ছে। ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে প্রাণ হারান ফ্লয়েড। মিনেয়াপোলিস থেকে এএফপি এই তথ্য জানায়। এর পরপরই বিশ্বজুড়েু ছড়িয়ে পড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। বর্ণবাদ, পুলিশি সহিংসতা ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক জোরালো বার্তা পৌঁছায় মার্কিন সমাজে।
তবে সময়ের পরিক্রমায় পরিবর্তন এসেছে। আন্দোলনের জোয়ার কমেছে। আবারো ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার প্রশাসন একের পর এক নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত উদ্যোগ বাতিল করছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সংখ্যালঘুদের বৈচিত্র্যভিত্তিক নিয়োগও খর্ব হচ্ছে। নাগরিক সমাজ বলছে, এটি ‘প্রগতির বিপরীত গতি’।
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আর আগের মতো জনসমর্থন পাচ্ছে না। অনেকেই বলছেন আন্দোলনটি আবেগে দোলা দিলেও কাঠামোগত কোনো বদল আনতে পারেনি। এদিকে মিনেয়াপোলিসের যে সড়ক মোড়ে ফ্লয়েডের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় ধরা পড়ে, সেটিকেই এখন ‘জর্জ ফ্লয়েড স্কয়ার’ নামে ডাকা হয়। সেখানে আয়োজিত হয়েছে এক স্মরণ অনুষ্ঠান। বর্ণিল দেয়ালচিত্রে লেখা ‘তুমি পৃথিবী বদলে দিয়েছো, জর্জ’।
এই আশাবাদী বার্তাটিই যেন এখন প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ, রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে থাকা অনেকেই প্রকাশ্যে হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের ক্ষমা চাওয়ার পক্ষ নিচ্ছেন। শভিন বর্তমানে ২২ বছরের কারাদণ্ডে আছেন। ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন অনেকাংশেই ছিল ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার-এর বিরুদ্ধে এক প্রতিক্রিয়াশীল ভোট। কয়েকটি শহরে সহিংসতা ও পুলিশের বাজেট কমানোর দাবিকে কেন্দ্র করে জনমত বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবুও থেমে থাকতে নারাজ ফ্লয়েডের পরিবার।
শুক্রবার মিনিয়াপোলিসে তার ফুপু অ্যাঞ্জেলা হ্যারেলসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন যে মূল্যবান, তা বোঝাতে আমাদের কোনো নির্বাহী আদেশের দরকার নেই। কোনো বাধা আমাদের এগিয়ে যাওয়া থামিয়ে দিতে পারবে না। আমরা ফিরে আসব, আরও দৃপ্ত হয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা বুঝতেই পারেননি’।
বিকেলে প্রায় ৫০ জন মানুষ একত্র হয়ে ফ্লয়েডের মৃত্যুর স্থানটিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। কিছুক্ষণ নীরবতাও পালন করা হয়।
সূত্র: এএফপি
এসজেড