জুমার দিন মুসলমানদের জন্য শুধু নামাজ আদায়ের নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখার দিন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নবী মুহাম্মদ ﷺ নিজের জীবনে জুমার দিনকে শুধুমাত্র ইবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং এই দিনে সমাজের অন্যায়, অবিচার ও অবজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছেন।
জুমার দিন একত্রিত মুসলমানদের মধ্যে একতা ও সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর অন্যতম সুযোগ। ইমাম জুম্মার খুতবায় অধিকাংশ সময় ন্যায্যতা, মানবাধিকার, শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদ ও সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। এতে করে মুসলমানদের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা ও দায়িত্ববোধ জন্মায়।
আজকের দিনে যখন সামাজিক অন্যায়, নিপীড়ন ও অবিচার বেড়ে চলেছে, জুমার দিন প্রতিবাদের মাধ্যমে মানবতার পক্ষ থেকে কথা বলা এক মহৎ কাজ। তবে প্রতিবাদ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও ইসলামি আদর্শের মধ্যে থেকে হওয়া প্রয়োজন।
সুতরাং, জুমার দিনে ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের দোষত্রুটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মুসলিম জনসাধারণের এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা আল্লাহর পথের সেবা ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখে।
THEBGBD.COM/NA