ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরে হামলা

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা কাটাবন এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মে, ২০২৫
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরে হামলা ছবি : সংগৃহীত ।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা কাটাবন এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার, ২৬ মে, দুপুরে, যখন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান গারো পাহাড়ঘেরা বনাঞ্চলের মধ্যে একটি প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা ঘিরে এলাকা পরিদর্শনে যান।


স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গারো পাহাড়ঘেরা বনভূমির ২২৩ একর খাসজমিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৩২ একর জমি সংরক্ষিত পাথর মহাল হিসেবেও চিহ্নিত। বন বিভাগ এই উদ্যোগে আপত্তি জানালে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুরের তিনটি উপজেলার গারো পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২১ হাজার একর বনভূমি রয়েছে, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ ইতিমধ্যে দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।


পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, “বনের জমিতে কোনো পর্যটন কেন্দ্র হবে না।” তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় হাতির অভয়ারণ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এই বক্তব্যের পরপরই স্থানীয় জনগণের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে। পর্যটন কেন্দ্রের পক্ষে ও বিপক্ষে থাকা দুটি পক্ষ উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভে জড়ায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।


হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন এখন টিভির সাংবাদিক জাহিদুল খান সৌরভ, সময় টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট বাবু চক্রবর্তী, বাংলা টিভির নাঈম ইসলাম, বাংলাদেশের খবরের শাহরিয়ার শাকিরসহ আরও দুইজন। তাদের ওপর হামলার ভিডিও ও বিবরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে। স্থানীয় সাংবাদিক এবং শেরপুর প্রেসক্লাব এ ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন।


ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বন সংরক্ষণ ও পর্যটন উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয়ের প্রশ্নটি আবারও সামনে এসেছে। পরিবেশ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে এই বনভূমিকে রক্ষা করতে হবে এবং পর্যটনের নামে ধ্বংসের সুযোগ রাখা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি পুনরায় আশ্বাস দিয়েছেন, এই অঞ্চলে একটি হাতির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।



thebgbd.com\NA