বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কিলাউয়া থেকে ১,০০০ ফুটেরও বেশি উঁচু লাভার স্তম্ভ ছিটকে উঠছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা। রোববার প্রকাশিত ভিডিওতে হাওয়াইয়ের এই আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণের দৃশ্য দেখা গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে এএফপি জানায়, ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে হাওয়াইয়ের ‘বিগ আইল্যান্ডে’ অবস্থিত কিলাউয়া আগ্নেয়গিরির শীর্ষে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। রোববারের ফুটেজে দেখা যায়, কিলাউয়ার কালডেরার মধ্যে উজ্জ্বল কমলা রঙের ফাটল তৈরি হয়ে সেখান থেকে লাভার ঝর্ণা ছিটকে উঠছে আকাশে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর হাওয়াই আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, হাওয়াই সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কিলাউয়ার হালেমাউমাউ নামক গর্তের উত্তর ছিদ্র দিয়ে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর দক্ষিণ দিকের ছিদ্র থেকেও লাভা ছিটকে ওঠে, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ২৩০ ফুট, আর উত্তর দিকের ছিদ্র থেকে বের হওয়া লাভার স্তম্ভ ১,০০০ ফুট বা ৩০০ মিটার ছাড়িয়ে যায়। সংস্থাটি জানায়, ‘লাভা বর্তমানে হালেমাউমাউ গর্তের পুরো তল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।’
এই ঘটনাটি ডিসেম্বরের অগ্নুৎপাতের পর ২৩তম বার লাভা উদগিরণের ঘটনা বলে জানায় ইউএসজিএস। লাভার এই ফোয়ারা সাধারণত একদিন বা তার কম সময় স্থায়ী হয়। মূল বিপদের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আগ্নেয় গ্যাস, যা বাতাসের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় ‘ভগ’ (ভলকানিক ফগ) বা আগ্নেয় কুয়াশার সৃষ্টি করতে পারে। এই ‘ভগ’ মানুষ, প্রাণী এবং ফসলের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
১৯৮৩ সাল থেকে কিলাউয়া সক্রিয় রয়েছে এবং নিয়মিত অগ্নুৎপাত ঘটায়। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ছয়টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি হলো কিলাউয়া। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি মাউনা লোয়া-ও রয়েছে। মাউনা লোয়ার তুলনায় কিলাউয়া ছোট হলেও তা অনেক বেশি সক্রিয় এবং প্রায়ই আগ্নেয় দৃশ্য উপভোগ করতে হেলিকপ্টারে উড়ে আসা পর্যটকদের মুগ্ধ করে থাকে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড