চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাছে একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকজন পথচারী ধাক্কা দিয়ে পুকুরে পড়ে গেছে। এতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এয়ারপোর্টের কাছের প্রজাপতি পার্কের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হতাহতরা একই পরিবারের সদস্য। তারা সপরিবারে পতেঙ্গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঘোরা শেষে বাড়ি ফেরার গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন তারা। নিহত দুজন সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
মারা যাওয়া ভাগনের নাম সাবিক ও মামার নাম আসাদুজ্জামান সানি। স্থানীয় সোহেল জানান, আহতদের মধ্যে সাকিবের বাবা আলমগীর, মা নুসরাত ও ভাই ইয়াসিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পতেঙ্গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন পাঁচ বছরের সাকিব। সমুদ্র সৈকত, নেভাল ঘুরে বেড়িয়েছেন নিজে নিজে। সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় ফেরার জন্য গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিল তারা। এসময় দ্রুতগতির এক লরি তাদের ধাক্কা দিয়ে নিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা পুকুর থেকে চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও নিখোঁজ ছিল শিশু সাকিব। খবর পেয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১০টার দিকে লরিটির একাংশ তুললেও তখনও নিখোঁজ ছিল শিশু সাকিব। পরে রাত পৌনে ১টার দিকে লরির বাকি অংশ তুললে নিচ থেকে বেরিয়ে আসে শিশু সাকিবের মরদেহ। এর আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাকিবের মামা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের এডিসি হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন, ফায়ারের সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চালানো হয়েছে। লরি চালককে আটক করা হয়েছে।