ক্ষুধাভাব হঠাৎ কমে গেলে বা খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে গেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকতে পারে। বিশেষ করে কিছু ভিটামিনের অভাবে ক্ষুধার অনুভূতি কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, যা খাদ্যগ্রহণে প্রভাব ফেলে এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুসারে, ভিটামিন বি (বিশেষ করে ভিটামিন বি১, বি৬ ও বি১২) এর অভাবে ক্ষুধা কমে যেতে পারে। এই ভিটামিনগুলো স্নায়ুতন্ত্র ও পাচনতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন)
থায়ামিনের ঘাটতি থাকলে খাবার হজমে সমস্যা হয় এবং ক্ষুধা কমে যায়। শরীরে শক্তির অভাব দেখা দেয় যা খাবারের প্রতি আগ্রহ কমায়।
ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন)
এটির অভাবে পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব ও ক্ষুধার অভাব হতে পারে।
ভিটামিন বি১২
ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতা ও স্নায়ু সমস্যা হয়, যা ক্ষুধা কমার একটি কারণ হতে পারে।
এর পাশাপাশি, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি এর অভাবে সাধারণত সরাসরি ক্ষুধা কমে না, তবে শরীর দুর্বল হওয়ায় খাদ্য গ্রহণে আগ্রহ কমতে পারে।
ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে নিয়মিত ক্লান্তি, ওজন কমা, হজমের সমস্যা ও মনোযোগ কমার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাবার যেমন শস্য, সবুজ শাকসবজি, মাংস, মাছ ও ডিম রাখার মাধ্যমে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করা জরুরি।
যদি দীর্ঘদিন ক্ষুধা কমে থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি পরীক্ষা করানো উচিত।
thebgbd.com/NIT