নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর মোকওয়ায় প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১০ জন। বৃহস্পতিবার দেশটির জরুরি উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। কানো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বুধবার গভীর রাতে প্রবল বর্ষণের পর সৃষ্ট বন্যায় ৫০টির বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয় বা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নাইজার রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক আবদুল্লাহি বাবা-আরাহ বলেন, ‘স্রোতের তোড়ে অন্তত ৫০টি বাড়ির বাসিন্দা ভেসে গেছেন।’ উদ্ধারকারীরা এক নারী ও তার দুই সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নাইজেরিয়ায় বর্ষাকাল। এ সময়টাতে প্রায় প্রতি বছরই দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, জলাধার ও খাল-নালায় আবর্জনা ফেলা এবং জলাধার বা নালা দখল করে গৃহ নির্মাণের কারণে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এর আগে, বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে দেশের ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ১৫টিতে ‘আকস্মিক’ বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে সতর্ক করে আবহাওয়া সংস্থা, যার মধ্যে নাইজারও ছিল।
নাইজেরিয়ায় চলতি বছরের বর্ষা মৌসুম মাত্র শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতোমধ্যেই চরম ও অস্বাভাবিক আবহাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর ভারী বর্ষণ ও দুর্বল অবকাঠামোর কারণে সৃষ্ট বন্যায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
২০২৪ সালে বন্যায় ১২শ জনের বেশি প্রাণ হারান এবং ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। এটি দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বন্যা হিসেবে বিবেচিত। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্যমতে, সে সময় ৩৫টি রাজ্যের মধ্যে কমপক্ষে ৩১টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ১৪ লাখ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি ধ্বংস হয়। এর আগে ২০২২ সালের বন্যায়ও ৫ শতাধিক প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
