২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। তারা বলেছে, কেবল একটি দল নয়, বরং দেশের সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়। আজ শুক্রবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম।
বিবৃতিতে তারা জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে "নিরেট মিথ্যাচার" বলে আখ্যায়িত করেন। তারা অভিযোগ করেন, ইউনূস নিজেই কিছু জনসমর্থনহীন ও মৌলবাদী দলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের সময়সূচি বিলম্বিত করছেন।
জোট নেতারা বলেন, তারা বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন যে জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণার সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু ইউনূস কথার মারপ্যাঁচে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছেন এবং পদত্যাগের নাটক করে দায় এড়াতে চাইছেন।
তারা অভিযোগ করেন, ড. ইউনূস যে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন, তাদের মধ্যে অনেকে স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গী ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন ও প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে কখনোই সক্রিয় ভূমিকা নেননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসব দল ও নেতা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের অবজ্ঞা করে ইউনূস গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি অবিচার করছেন। এতে আন্দোলনকারীরা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।
১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১, ১৯৯০ এবং বর্তমান সময়েও ভোটাধিকার রক্ষার জন্য জীবনবাজি রেখেছে। তারা চান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন। এ জন্য ইউনূসকে শুধু নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার নেই।
তারা জানান, সেনাবাহিনীও নানা মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে। প্রয়োজন শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের শিডিউল ঘোষণা এবং ন্যূনতম সংস্কার।
বিবৃতিতে ড. ইউনূসকে সতর্ক করে জোট নেতারা বলেন, “আফগানিস্তানের আশরাফ গনির মতো যেন তাকে পালাতে না হয়।” দেশের মানুষ যদি ক্ষিপ্ত হয়, তাহলে তিনি পাশে কোনো দলকেই পাবেন না।
thebgbd.com/NIT
