সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিভিন্ন সময়ে দেশের স্বার্থে নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণে বক্তৃতা দেন এবং বলেছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর তার ‘কোনও অনুশোচনা’ নেই। চলতি মাসের শুরুতে প্রাণঘাতি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর শুক্রবার জো বাইডেন প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে বক্তব্য রাখেন এবং বলেছেন, তিনি তার রোগ নিরাময় সম্পর্কে আশাবাদী এবং আমেরিকানদের মার্কিন গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানান। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
শুক্রবার ডেলাওয়্যারে এক অনুষ্ঠানে তিনি ক্যান্সার সম্পর্কে বলেছেন, ‘সকল মানুষ খুব আশাবাদী। আশা করা হচ্ছে আমরা এটিকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।’ মেমোরিয়াল ডে’র কয়েকদিন পরে তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন এবং ৪৬ বছর বয়সে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার ছেলে বিউ-এর মৃত্যুর ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই মন্তব্য করেন।
বাইডেন প্রোস্টেট ক্যান্সারের একটি ‘আক্রমণাত্মক রূপ’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন যা তার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে প্রতিদিন ‘একটি নির্দিষ্ট পিল’ খেতে হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘এটা কোনও অঙ্গে নেই, আমার হাড় শক্তপোক্ত’। তিনি আরও বলেন, একজন বিশ্বমানের সার্জনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন যিনি তিন দশক আগে নিজেই প্রোস্টেট ক্যান্সারকে পরাজিত করেন।
তার ভাষণে, প্রাণশক্তি এবং আবেগের সঙ্গে কর্তব্য পালনে নিখোঁজ সামরিক পুরুষ ও মহিলাদের কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেছেন, ‘তারা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে বলছে না, তারা আমাদের দেশের প্রতি সত্য থাকতে বলছে। তারা আমাদের তাদের কাজ করতে বলছে না, তারা আমাদের আমাদের কাজ করতে বলছে - আমাদের জাতিকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের সময়ে বর্তমানে, গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য।’
ডেমোক্র্যাট বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, অথবা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সম্প্রসারণের জন্য তার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেননি যা সমালোচকরা মার্কিন আইন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে মনে করেন। তবে তার বক্তৃতার প্রেক্ষাপট স্পষ্ট ছিল। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘এমন এক পরিবর্তনশীল মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব তা আগামী ২০ বছরের জন্য পরিস্থিতি কেমন হবে তা নির্ধারণ করবে।’
বাইডেন দাবি করেছেন, ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে জয়ী হতে দেখে তার পুনর্নির্বাচন প্রচারণা থেকে সরে আসার জন্য চাপ দেওয়া হলেও তার কোনও অনুশোচনা নেই। তিনি আরও বলেছেন, ‘কোনও অনুশোচনা নেই’, ‘আমি খুব গর্বিত। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার রেকর্ড যেকোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাখব।’
সূত্র: এএফপি
এসজেড
