চীনের ঐতিহাসিক, ‘গ্রেট হল অফ পিপল’-এ বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ১৯ বার চীন সফর করলেন তিনি।
পুতিনকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। বৈঠকে শি’কে ‘বন্ধু’ বলে দাবি করে পুতিন বলেন, রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’। তবে এই সম্পর্ক কারও বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য গড়ে ওঠেনি।
অন্যদিকে শি বলেন, চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব ‘চিরস্থায়ী’, এই সম্পর্ক, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মডেল হয়ে উঠেছে।’
দুই নেতার সাম্প্রতিক সফর
দুই নেতা পরে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর উদযাপনের লক্ষ্যে একটি কনসার্টেও যোগ দেন। রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আর, তারপরই পুতিন দু’দিনের চীন সফর করলেন। শি সবেমাত্র ইউরোপ সফর থেকে ফিরেছেন। ইউরোপে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন। হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়ার নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। এই হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়ার নেতা, দুজনেই পুতিনের বন্ধু।
চীন, রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার মাত্র কয়েক দিন আগে চীন এবং রাশিয়া একটি ‘সীমাহীন’ কৌশলগত অংশীদারিত্বে স্বাক্ষর করেছিল। দুই বছরেরও বেশি সময় পরে, রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত।
চীনের কাছে পশ্চিমা বিশ্বের দাবি
ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের ভূমিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। গত মাসে চীনে সফরের সময়, আমেরিকার পররাষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন ও অর্থসচিব জ্যানেট ইয়েলেন বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। আর, তারপরই রুশ প্রেসিডেন্ট চীন সফর করলেন। পশ্চিমা দেশগুলো চায়, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করুক। আর, সেজন্য পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক চীন সরকার।