ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা, আগের রায় বাতিল

আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১ জুন, ২০২৫
জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা, আগের রায় বাতিল ফাইল ছবি

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।


রোববার (০১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।


তবে দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। আপিল বিভাগ প্রতীকের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।


এর আগে গত ১৪ মে দলটির করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য আজকের দিন (১ জুন) ধার্য করেছিলেন।


আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।


নিবন্ধন বাতিলের পটভূমি:

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে নির্বাচন কমিশন। জামায়াতে ইসলামীসহ ৩৮টি দল সে সময় নিবন্ধিত হয়।


২০০৯ সালে তরিকত ফেডারেশনের নেতা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করে জামায়াতের নিবন্ধনকে চ্যালেঞ্জ জানান। এরপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে জামায়াতের গঠনতন্ত্রকে সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে তাদের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।


এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত, যা দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।  এরপর ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


পরে ২০২৩ সালের আগস্টে জামায়াত আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং একই বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় ১৪ মে।


thebgbd.com/NIT