ভাত আমাদের দৈনন্দিন খাবারের অন্যতম প্রধান অংশ। তবে বয়স অনুযায়ী শরীরের পুষ্টি চাহিদা এবং পরিশ্রমের মাত্রা ভিন্ন হওয়ায় ভাতের পরিমাণও ঠিক করে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ভাত খেলে ওজন বাড়তে পারে, আর কম খেলে শক্তির অভাব হতে পারে। তাই বয়সভিত্তিক ভাতের পরিমাণ জানা গুরুত্বপূর্ণ।
১. শিশু ও কিশোর (৫-১৮ বছর):
এ বয়সে শরীর দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই বেশি পুষ্টিকর খাবার দরকার। প্রতিদিন প্রায় ১-১.৫ কাপ সিদ্ধ ভাত খাওয়া উচিত। স্কুল এবং খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকলে আরও প্রয়োজন হতে পারে।
২. তরুণ বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক (১৯-৩৫ বছর):
শরীর সচল থাকে, কাজ ও ব্যায়াম বেশি হয়। প্রতিদিন ১.৫ থেকে ২ কাপ ভাত খাওয়া ঠিক। যারা বেশি পরিশ্রমী বা খেলোয়াড়, তারা একটু বেশি খেতে পারেন।
৩. মধ্যবয়সী (৩৬-৫৫ বছর):
এই বয়সে শরীরের বিপাক ক্রমশ ধীর হয়, তাই ভাতের পরিমাণ একটু কমানো ভালো। দিনে ১ থেকে ১.৫ কাপ ভাত যথেষ্ট।
৪. প্রবীণ বয়সী (৫৬ বছর এবং তার বেশি):
বয়স্কদের হজম ক্ষমতা কমে যায়, আর শারীরিক কর্মক্ষমতাও কমে। তাই ০.৫ থেকে ১ কাপ ভাতই পর্যাপ্ত, তবে পুষ্টির অন্যান্য উৎস যেমন সবজি, ডাল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি নিতে হবে।
বিঃদ্রঃ
ভাতের সঙ্গে সবজি, ডাল ও প্রোটিনযুক্ত খাবার মেলাতে হবে।
ওজন বেশি বা ডায়াবেটিস থাকলে ভাতের পরিমাণ কমানো উচিত।
স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সঠিক পরিমাণে ভাত খেলে শরীর ভালো থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং পুষ্টির অভাব হবে না। তাই বয়স ও জীবনধারার উপর ভিত্তি করে ভাতের পরিমাণ ঠিক করে খাওয়া উত্তম।
thebgbd.com/NA