যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রাথমিক ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। ‘ইসরায়েল টাইমস’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তেল আবিব থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
নেতানিয়াহুর জোটে থাকা দলই তার সরকার পতনের পথ ত্বরান্বিত করছে। নেতানিয়াহুর জোটের কিছু ইহুদি ধর্মপন্থি দল অতি-গোঁড়া ইহুদি সেমিনারি শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজ করার ব্যাপারে ছাড় চাইছে। অপরদিকে নেসেটের কিছু আইনপ্রণেতা ছাড়ের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বিলোপ চাইছে।
অতি-গোঁড়া ইহুদি শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব পালন করা বা না করার বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। তবে সম্প্রতি সরকার গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর আরও সেনা ডাকছে। এর মধ্যে ডাক পড়ছে অতি-গোঁড়া ইহুদি শিক্ষার্থীদেরও। এরপর বিষয়টি ইসরায়েলে অনেক বেশি আলোচিত হচ্ছে।
এই অতি-গোঁড়া ইহুদিদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করা সংক্রান্ত আইন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যা নেতানিয়াহু সমাধানের চেষ্টা করছেন। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় এখন ইসরায়েলের ধর্মভিত্তিক দলগুলো তার সরকার পতনের পথে হাঁটছে। ধর্মীয় গোঁড়া দলগুলো বলেছে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেবে তারা। এমনটি হলে ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত হবে আগাম নির্বাচন।
ইসরায়েলি লেবার পার্টি ও বিরোধী দলীয় সাংসদ মিরাভ মিখাইলি বলেছেন, ‘অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন নেতানিয়াহুর সরকার বিশেষ করে বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক। এ সরকারকে স্থলাভিষিক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা এবং সব জিম্মিকে ফেরত আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলকে আবারও পুনর্গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এদিকে নেতানিয়াহু এখন তার সরকার বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি তার জোট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। আজকে যদি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ভোট হয় এবং এটি পাস হয় তাহলে আরো তিনটি ধাপ পার করতে হবে। এরপরই পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাবে এবং আগাম নির্বাচন হবে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড