পাকিস্তান সরকার আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াচ্ছে। আগের বছরের তুলনায় এবার ১৭ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করতে চায় দেশটির সরকার। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে চীন থেকে অস্ত্র ক্রয় বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘গার্ডিয়ান’।
বুধবার পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন বাজেট সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি প্রকাশ করেছে। নথি থেকে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ৯শ’ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে শেহবাজ শরিফ সরকারের। যা পাকিস্তানি মুদ্রায় প্রায় ২ দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি। গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন রুপি।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে ঋণের সুদ পরিশোধে। এরপরেই সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হিসেবে রয়েছে প্রতিরক্ষা। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চারদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পাকিস্তান ব্যবহার করে চীনের তৈরি জেএফ-১৭ ও জেড-১০সি যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান জানিয়েছে, চীন তাদের ৪০টি জে-৩৫ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এইচকিউ-১৯ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে ওয়াশিংটন টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের চীন থেকে অস্ত্র আমদানির হার ৮২ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সময়কাল ২০০৯-২০১২ সালে এই হার ছিল ৫১ শতাংশ। পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয়বৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: গার্ডিয়ান
এ্সজেড