দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্ধারকারী দলগুলো পূর্ব কেপ প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বাতাসের কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার আরও মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার তীব্র শীতকালীন ঝড়টি মূলত গ্রামীণ এবং অনুন্নত প্রদেশে আঘাত হানে। এর ফলে একটি নদীর তীর ভেঙে যায় ও ঘরবাড়ি ডুবে যায় এবং বেশ কয়েকটি অস্থায়ী বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দ. আফ্রিকার মাথাথা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৮শ’ কিলোমিটার (৫শ’ মাইল) দক্ষিণে মাথাথা শহরের আশেপাশে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে বাসিন্দারা তিন দিন পরে তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর থেকে কাদা ভেদ করে যা সম্ভব উদ্ধার করতে বের হন। এএফপি’র সাংবাদিকরা বিকেলের শেষের দিকে একটি এক কক্ষবিশিষ্ট বাড়ি থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেখেছেন, যার মধ্যে কিছু শিশুও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ক্যারোলিন বলেছেন, ‘পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকান রেড ক্রস সোসাইটির পূর্ব কেপ ব্যবস্থাপক গ্যালান্ট বলেছেন তারা দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে সহায়তা পাঠিয়েছেন। তিনি এএফপি’কে বলেছেন, ৩ হাজারেরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এটি এই অঞ্চলে রেকর্ড করা ‘সবচেয়ে খারাপ দুর্যোগ’।
সমবায় শাসন ও ঐতিহ্যবাহী বিষয়ক মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা সাংবাদিকদের বলেছেন,‘নিহতের সংখ্যা এখন ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেছেন, বন্যায় ভেসে যাওয়া একটি স্কুল ভ্যানের ১০ জনের মধ্যে ছয়জন স্কুল ছাত্রও রয়েছে। চারজন শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী সিভিওয়ে গোয়ারুবে বলেছেন, ‘আমরা আজ আরও দুইজন শিক্ষার্থীর কথা জানতে পেরেছি। যারা হেঁটে স্কুলে যাওয়ার সময় মারা গেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তিনি পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসি নিউজকে বলেছেন ‘আমরা হতবাক’।
ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শত শত মানুষকে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বন্যাকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, তিনি শুক্রবার দুর্যোগ কবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
