মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
এক বিবৃতিতে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েলে লক্ষাধিক মার্কিন নাগরিক ও গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সম্পদ রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সুরক্ষার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
ফক্স নিউজের চিফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি করেসপন্ডেন্ট জেনিফার গ্রিফিন জানিয়েছেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন রয়েছে। এর একটি ‘ইউএসএস সুলিভানস’ এবং অন্যটি ‘ইউএসএস আরলেই বার্কি’।
একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
আরও জানা গেছে, মার্কিন সেনাবাহিনী প্যাট্রিয়ট পিএসি-থ্রি এবং থাড (টিএইচএএডি) ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলের দিকে আসা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সহায়তা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সক্রিয় অংশগ্রহণ মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে আন্তর্জাতিক মিত্রতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
এদিকে, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রতিনিধি ম্যাকয় পিট বলেন, ‘প্রত্যেকটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, ইসরায়েল এর ব্যতিক্রম নয়।’
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে এই হামলার আগেই জানানো হয়েছিল, তবে কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় সামরিকভাবে অংশ নেয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে, ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিক, কর্মী ও সেনাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
তেহরান যদি আমেরিকান সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তাহলে ইরানকে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেন পিট।
thebgbd.com/NA