ইরানে ইসরাইলের হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এ নিয়ে মোটেও মাথা ব্যথা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গতকাল শুক্রবার সিনহুয়া’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে দেশটি এখন পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসবে কি-না এখনো তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প বলেছেন, রোববার ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখনো পরমাণু আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে তারা অংশ নেবে কি-না নিশ্চিত নই। ট্রাম্পের দাবি, ইরানের চুক্তিতে পৌঁছাতে এখনো খুব বেশি দেরি হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ইরানকে অপমান ও মৃত্যু থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।’ এমনকি ইরানের ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার ফলে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হওয়া নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন নন বলে জানান।
এর আগে ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলাকে ‘খুবই সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করে এবং শুক্রবার রাতে (ইরানের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে) ইরানের ওপর হামলাকে ‘খুব সফল আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
টেলিফোনে দেয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলকে সমর্থন করি। আমরা এমনভাবে সমর্থন করি কেউ কখনো তাদের এমনভাবে সমর্থন করেনি। ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের উচিত ছিল আমার কথা শোনা। জানেন কি-না জানি না। তাদের (ইরানকে পরমাণু চুক্তি করতে) ৬০ দিনের সতর্কতা দিয়েছি। কিন্তু ১৩ জুন শুক্রবার ৬১ তম দিন অতিহাহিত হলো।
এছাড়া নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, তেহরানকে আমি ‘একের পর এক সুযোগ দিয়েছি। তাদের কঠোর ভাষায় বলেছি, চুক্তিটা করতে। কিন্তু তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, যতই পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি আসুক না কেন, তারা তা সম্পন্ন করতে পারেনি।’ তিনি বলেছেন, ‘এরই মধ্যে বহু মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, এই হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটানোর জন্য এখনো সময় আছে, পরবর্তীতে পরিকল্পিত হামলায় সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।’
সূত্র: এএ্ফপি
এসজেড
