ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনীতিতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নির্বাচন আয়োজনের সময় ও প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫৫ থেকে ৬৬ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে সিদ্ধান্ত আসতে হবে সরকারের দিক থেকেই—এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৯০ দিনের সময় থাকলেও, বাস্তব প্রস্তুতি থাকলেও সরকারের নির্ধারিত সময় ছাড়া কমিশনের পক্ষে উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়। আর সেই জায়গায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে নির্বাচনকে ঘিরে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার।
দেশে এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়। যেমন—প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি এখনো নির্ধারিত হয়নি। একইসাথে সংরক্ষিত নারী আসন বিষয়ে নতুন করে ভাবার দাবি উঠেছে, কারণ ভোটার তালিকায় নারীদের সংখ্যা এখনও পিছিয়ে। অথচ, জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট জনসংখ্যায় নারীর সংখ্যা এখন পুরুষের চেয়ে বেশি।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ইস্যুটি সামনে এসেছে, তা হলো নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জনসংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী সীমানা পুনর্বিন্যাস না হওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে—এমন শঙ্কাও রয়েছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে কমিশনের সক্ষমতা রয়েছে, তবে প্রয়োজন দলগুলোর রাজনৈতিক সদিচ্ছা।’ এদিকে, নির্বাচন কর্মকর্তা জেসমিন টুলী জানান, ‘সব প্রস্তুতি আছে, শুধু প্রয়োজন নির্দিষ্ট নির্দেশনার।’
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হচ্ছে, সরকার যে তারিখ নির্ধারণ করবে, কমিশন সেই তারিখেই প্রস্তুত রয়েছে ভোট আয়োজন করতে।
সবমিলিয়ে নির্বাচন আয়োজন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা নয়, এটি নির্ভর করছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের অগ্রগতির ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন এখন ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কোর্টে’—তাদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ভোটের সময়সূচি।
thebgbd.com/NA
ঢাকা
| বঙ্গাব্দ
