ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ছোঁয়া হলো না দুই মাইলফলক, আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে শান্ত

দুটো মাইলফলক ছোঁয়া হলো না তার। দারুণ এক ইনিংস খেলেও আউট হতে হলো খানিকটা আক্ষেপ নিয়েই।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জুন, ২০২৫
ছোঁয়া হলো না দুই মাইলফলক, আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে শান্ত ১৪৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন শান্ত।

উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই নেই, অন্তত এখন পর্যন্ত। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল চাইলেই পুরোটা দিন ব্যাট করে দেওয়া যায় এভাবেই। তবে সাতসকালে শান্তর বিদায়ে তা আর হলো না। দুটো মাইলফলক ছোঁয়া হলো না তার। দারুণ এক ইনিংস খেলেও আউট হতে হলো খানিকটা আক্ষেপ নিয়েই।


মিনিট দশেক আগেই একবার আউট হতে হতেও বেঁচে বর্তে ফিরেছিলেন। আসিথা ফার্নান্দোর এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ করেন শান্ত। আল্ট্রাএজে দেখা যায় বলটা তার ব্যাটে লেগে তারপর আঘাত হেনেছে প্যাডে। ফলে ১৪২ রানে একবার ‘জীবন’ পেয়ে যান তিনি।


তখন মনে হচ্ছিল আর আট রানই তো, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দেড়শো রানের দেখা হয়তো শান্ত পেয়েই যাবেন। কিন্তু তা আর হলো কই! আসিথার পরের ওভারেই অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দেন মিড অনে। নিচু ক্যাচটা দারুণভাবে নেন শেষ টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দেড়শো থেকে তখন শান্তর দূরত্ব স্রেফ দুই রানের। সেটাই হলো না আর।


তাতে নিদেনপক্ষে দুটো মাইলফলক হাতছাড়া হয়ে গেল শান্তর। প্রথমটা স্রেফ তারই, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দেড়শোটা হলো না। দ্বিতীয়টায় আক্ষেপ হতে পারে মুশফিকেরও। এই গলে এক যুগ আগে মুশফিক আশরাফুলের সঙ্গে মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তুলেছিলেন ২৬৭ রান। সেটাই দেশের বাইরে এশিয়ার মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। 


সে জুটিটা ভাঙা থেকে আর ৪ রানের দূরত্বে ছিলেন আজ শান্ত ও মুশফিক। তবে দলীয় ৩০৯ রানে যখন ফিরলেন শান্ত, দুজনের জুটিটা থেমে যায় ২৬৪ রানে। ফলে এই আক্ষেপটাও সঙ্গী হয় বাংলাদেশের।


সম্ভাবনা অবশ্য আরও একটা ছিল। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস মুশফিকের। ওই এক যুগ আগের গল টেস্টে তার করা ২০০ই এখন পর্যন্ত দলের কোনো অধিনায়কের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আজ শান্ত সেটাও ছুঁতে পারতেন, পরিস্থিতি অন্তত তাই বলছিল। কিন্তু তা হলো না, তিনি ১৪৮ রানে আউট হয়ে যাওয়ায়।


thebgbd.com/NIT