ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ও কঠোর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন) উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপাচার্য ছাড়াও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গৃহীত প্রধান সিদ্ধান্তগুলো হলো:
নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি প্রধান প্রবেশদ্বারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হবে, যেখানে প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি আনসার ও সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা অংশ নেবেন।
ভবঘুরে উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হবে।
ক্যাম্পাসের আশপাশে সেনা টহল বৃদ্ধির জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সভা করা হবে।
ক্যাম্পাসজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি, নষ্ট ক্যামেরা সংস্কার ও রাতের আলোকসজ্জা জোরদার করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়াও, সাম্য ও তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে আইন মন্ত্রণালয় ও পিবিআইকে পৃথকভাবে চিঠি পাঠানো হবে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদ।
thebgbd.com/NA