ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ছেলের ‘কাটা পা’ নিয়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে বাবা

তুচ্ছ ঘটনার জেরে ছেলের পা কেটে নেওয়ার মতো নির্মম হামলার বিচার চেয়ে কাটা পা হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক অসহায় বাবা। হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নকলা উপজেলায়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জুন, ২০২৫
ছেলের ‘কাটা পা’ নিয়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে বাবা ছবি : সংগৃহীত

তুচ্ছ ঘটনার জেরে ছেলের পা কেটে নেওয়ার মতো নির্মম হামলার বিচার চেয়ে কাটা পা হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক অসহায় বাবা। হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নকলা উপজেলায়।

আহত স্কুলছাত্র মো. সাকিল মিয়ার (১৮) বাবা মো. আমির হোসেন গত বুধবার (১৮ জুন) ছেলের কাটা পা হাতে নিয়ে নকলা সেনা ক্যাম্প, থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং শেরপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে বিচারের আকুতি জানান।

এর আগে ১৫ জুন (রোববার) সন্ধ্যায় নকলার গণপদ্দী ইউনিয়নের বারইকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিলের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, প্রতিপক্ষ দা দিয়ে তার বা পা ও একটি হাত কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বা পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়।

সাকিলের বাবা আমির হোসেন জানান, ঘটনার পরদিন আদমপুর গ্রামের লালু বাদশার ছেলে হাসিবুল (২০), অন্তিম (২২), ইস্রাফিল (৪৯) ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে নকলা থানায় মামলা করেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে স্কুলে এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সাকিল ও সহপাঠী হাসিবুলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও পরবর্তীতে পূর্ববিরোধের জের ধরে এই হামলা চালানো হয়।

সাকিলের স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাকিল বাড়ির বাইরে ছিলেন। এ সময় হাসিবুলসহ কয়েকজন এসে তার ওপর ধারালো দা দিয়ে হামলা চালায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম বলেন, “ঘটনার পর মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”

এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে দাবি জানিয়েছেন সাকিলের পরিবারসহ স্থানীয়রা।

thebgbd.com/NA