জাপানের কোস্টগার্ড শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এই মহড়া বিতর্কিত আঞ্চলিক জলসীমায় চীনা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাপানের কাগোশিমা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এটি দ্বিতীয়বারের মতো এই তিন দেশের কোস্ট গার্ড এক সঙ্গে মহড়া করছে। এর আগে ২০২৩ সালে ফিলিপাইনে তাদের প্রথম যৌথ সামুদ্রিক অনুশীলন হয়। শুক্রবারের মহড়ায় জাহাজ ধাক্কা লাগা, আগুন লাগা আর কেউ জাহাজ থেকে পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা দেখানো হবে। এএফপি’র রিপোর্টাররা সেটি সরাসরি দেখবেন। এই মহড়ার মাধ্যমে সোমবার শুরু হওয়া জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের এক সপ্তাহব্যাপী অনুশীলনের সমাপ্তি হবে।
মহড়ায় কয়েক ডজন কোস্টগার্ড সদস্য অংশ নিচ্ছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অনুশীলন কোনো এক নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়। তবে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা যেভাবে চীনের প্রতি ইঙ্গিত দেয়, সেই ধরনের ভাষা এই মহড়াতেও ব্যবহার করা হয়েছে। জাপানের কোস্ট গার্ডের আঞ্চলিক প্রধান হিরোকি ওদাচি বলেছেন, এই মহড়ার লক্ষ্য ‘একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত’ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।
পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশের ওপর চীন এবং অন্যান্য দাবিদারদের মধ্যে উত্তেজনা, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানকে ফিলিপাইন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে পরিচালিত করেছে। তিনটি দেশ ২০২৪ সালে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে যাতে বেইজিংয়ের প্রতি কঠোর বার্তা ছিল। এতে বলা হয়েছে,‘দক্ষিণ চীন সাগরে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (পিআরসি) বিপজ্জনক এবং আক্রমণাত্মক আচরণে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
বিবৃতিতে কোস্টগার্ড এবং সামুদ্রিক মিলিশিয়া জাহাজের বিপজ্জনক এবং জোরপূর্বক ব্যবহারের কথাও বলেছে। তারা বলেছে, চীন যদি জোর করে বা অন্যায়ভাবে পূর্ব চীন সাগরের বর্তমান অবস্থা বদলানোর চেষ্টা করে, তাহলে তারা সেটা মানবে না এবং এতে কঠোর আপত্তি জানাবে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড