ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে শিবির-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কায়সারকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। জানা গেছে, ৫ আগস্টের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্তির পর তিনি পলাতক ছিলেন এবং শুক্রবারই রাঙামাটিতে ফেরেন।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জুন, ২০২৫
ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে শিবির-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ ফাইল ছবি

রাঙামাটিতে ছাত্রলীগের এক শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আটক ও মারধরের ঘটনায় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার (২১ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বনরূপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, জুমার নামাজের পর একটি ট্যাক্সিতে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের রাঙামাটি জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন কায়সারকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় তাকে মারধর করা হয়।


পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কায়সারকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। জানা গেছে, ৫ আগস্টের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্তির পর তিনি পলাতক ছিলেন এবং শুক্রবারই রাঙামাটিতে ফেরেন।

 

ঘটনার সময় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর শাহ অভিযোগ করেন, মারধরের সময় তিনি গাড়ি ভাঙচুর না করার অনুরোধ করলে ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী তাকে এবং আকাশ নামে আরেক নেতাকে আঘাত করে। এরপর দুই সংগঠনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে শিবির কর্মীদের ইসলামী সেন্টারের ভেতরে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাফি বলেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি’ উল্লেখ করে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি।.

 

জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কায়সারকে আটক করতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা দুইপক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি। এটা নিছকই ভুল বোঝাবুঝি।’

 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদও জানান, ‘ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের সময় ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হবে।’

 

এদিকে এই ঘটনায় দুই অটোরিকশাচালক জাকারিয়া ও সাব্বিরকে মারধরের অভিযোগ তুলে রাঙামাটি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু জানান, ঘটনার প্রতিবাদে চালকরা শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে পুনরায় চলাচল শুরু হয়।

 

তবে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চালকদের মারধরের অভিযোগ মিথ্যা এবং তারা ঘটনার বিস্তারিত জানেন না।

 

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।


thebgbd.com/NIT