মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনি-পন্থী ক্যাম্পাস বিক্ষোভের অন্যতম দৃশ্যমান নেতা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মাহমুদ খলিল শুক্রবার একটি ফেডারেল আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা, খলিল এক মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মার্চ মাস থেকে সম্ভাব্য ডিটেনশনের জন্য তাকে হেফাজতে রাখা হয়। নিউইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ফেডারেল বিচারক তাকে মুক্তির আদেশ দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে ফিলিস্তিনি কেফিয়া স্কার্ফ পরা খলিল, লুইসিয়ানায় অবস্থিত একটি অভিবাসন আটক কেন্দ্রের বাইরে মার্কিন মিডিয়াকে বলেন, ‘এতে তিন মাস সময় নেওয়া উচিত হয়নি।’ তিনি বলেন ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন, এর জন্য ভুল ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছে। গণহত্যার প্রতিবাদ করার জন্য কাউকে আটক করা বা আটক থাকা উচিত না।’
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ শুক্রবার জেলা জজ মাইকেল ফারবিয়ার্জের রায়ের সমালোচনা করে বলেছে, ‘বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা সদস্যরা কীভাবে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুন্ন করছে’ তার একটি উদাহরণ এটি। তার মুক্তির শর্তাবলী অনুসারে, খলিলকে ‘স্ব-নির্বাসন’ ব্যতীত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে দেওয়া হবে না এবং দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণে তার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
খলিলের স্ত্রী, মিশিগানে জন্মগ্রহণকারী দন্তচিকিৎসক নূর আবদাল্লা বলেন, তার পরিবার ‘অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে এবং জানতে পারবে মাহমুদ বাড়ি ফিরছে।’ তার মামলা পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, বিশেষ করে তখন, যখন কর্তৃপক্ষ তাকে এপ্রিলে তার প্রথম সন্তানের জন্মের সময় উপস্থিত থাকার সুযোগও দেয়নি।
সূত্র: এএফপি
এসজেড