ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত হালমাহেরা দ্বীপে একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে, আকাশে ধূসর ছাইয়ের একটি মেঘ ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে আশেপাশের সাতটি গ্রামের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
রোববার (১৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্স।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি সংস্থার দেওয়া তথ্য ও শেয়ার করা ছবি অনুসারে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মাউন্ট ইবুতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়, উৎক্ষিপ্ত ছাই ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পর্যন্ত উপরে উঠে যায় এবং এর জ্বালামুখের চারপাশে বেগুনি বিদ্যুতের চমকানি দেখা যায়।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা আব্দুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুলিশ, সামরিক বাহিনী ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের এক যৌথ দলকে ঘটনাস্থলের আশপাশের গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষগুলো বয়স্কদের সাহায্য করছে, অন্য বাসিন্দাদের পিকআপে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং রাতে তাদের থাকার জন্য জরুরিভিত্তিতে তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে এ পর্যন্ত ওই সাত গ্রামের কতজন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সংস্থাটি কোনো তথ্য দেয়নি। কিন্তু আগ্নেয়গিরির চারদিকে সাত কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে ইবু বেশ কয়েকবার অগ্ন্যুৎপাতের পর দেশটির আগ্নেয়গিরি সংস্থা সতর্কতা জারি করে। গত বৃহস্পতিবার তারা এই সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যায়।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘আগুনের বৃত্ত’র (রিং অব ফায়ার) ওপর অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। গত কিছুদিন ধরে এর অনেকগুলোতেই অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর সুলাওয়েসির রুয়াং আগ্নেয়গিরিতেও অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। এর জ্বালামুখ দিয়ে দ্যুতিময় লাভা বের হয়ে আসছে। এ কারণে নিকটবর্তী একটি দ্বীপের ১২ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা
| বঙ্গাব্দ
