ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহতে গত সপ্তাহ থেকে অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর রাফাহ থেকে অন্তত আট লাখ ফিলিস্তিনি জীবন বাঁচাতে পালিয়ে গেছেন, উদ্বাস্তু হয়েছেন।
শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আল জাজিরা।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি ফিলিস্তিনিদের বারবার বাস্তুচ্যুতির ঘটনায় সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিরা বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তারা বারবার পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু নিরাপদ আশ্রয় পাননি। এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রেও তারা নিরাপদ ছিলেন না।
এদিকে, শনিবার শুধু রাফাহ নয়, গাজায়ও তুমুল লড়াই হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় এদিন কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার দিনের শুরুতে জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ৮৩ জনের প্রাণ গেছে।
দিনের পরবর্তী অংশের খবর জানিয়ে আল–জাজিরা আরবির প্রতিনিধি ইসমাইল আলঘৌর জানান, গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৪০ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তাঁরা নিহত হন। অন্য একটি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
গাজার ঐতিহাসিক আটটি শরণার্থীশিবিরের সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। বাসিন্দারা বলেন, জাবালিয়ার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান। সামনে অগ্রসর হওয়ার পথে সব বাড়িঘর ও দোকানপাট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বুলডোজারগুলো।
গাজায় হামলা শুরুর প্রথম দিকের মাসগুলোয় জাবালিয়াকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধামুক্ত করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। কিন্তু গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গাজার যোদ্ধারা যাতে আবার সংগঠিত হতে না পারেন, সে জন্য আবার জাবালিয়ায় অভিযান শুরু করছে তারা।