আছে আধুনিক ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জাম। কিন্তু ব্যবহার নেই তার । এমন সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারও। এজন্য দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত জায়গার অভাবসহ অপরিকল্পিত নগরায়নকে দুষছে ফায়ার সার্ভিস।
জটিল পরিস্থিতে দুর্যোগ কবলিত বহুতল ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে উন্নত দেশগুলোতে জাম্বো কুশন বা এয়ার কুশনের ব্যবহার বেশ পুরনো।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ২২ তলা বিশিষ্ট বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় মারা যান অন্তত ২৫ জন। তবে সবাই আগুনে পুড়ে নয়, অনেকের করুণ মৃত্যু হয় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে রক্তাক্ত হয়ে।
এফআর টাওয়ার দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে ৩টি জাম্বো কুশন উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ঠিক ৪ বছর পর গুলশানের একটি ১২তলা আবাসিক ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। আগুন থেকে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়ে মারা যান একজন। ফায়ার সার্ভিস সেদিন ব্যবহার করেনি তাদের কাছে থাকা জাম্বো কুশন।
সংকীর্ণ সড়ক, তারের জঞ্জাল, যানজট আর উৎসুক জনতার চাপেও ফায়ার ফাইটারদের ব্যবহারে বেগ পেতে হয় অনেক আধুনিক সরঞ্জাম। যেমন- ২৪ তলা সুউচ্চ ভবনে উদ্ধারকাজ চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন টার্ন টেবল লেডার ও ফায়ার ফাইটিং রোবট।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জায়গা স্বল্পতার কারণে প্রায়ই আমরা জাম্বো কুশন ব্যবহার করতে পারি না।
‘৬৮ মিটার যে টার্ন টেবল লেডার রয়েছে, সেটা দিয়ে আমরা অন্তত ২১তলা পর্যন্ত ব্যবস্থা করতে পারি। যানজটের জন্য পৌঁছাতে হয়ত দেরি হয়, কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে জীবন রক্ষা করার’, যোগ করেন তিনি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের বহরে কার্যকরী আধুনিক সরঞ্জাম ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, কী ধরনের ফায়ার, সেটা জেনে প্রস্তুতি নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা দরকার।
তাহলেই আমরা সফলভাবে যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলা করতে পারবো।