নতুন শিক্ষাক্রমের আগামী বছর নতুন বই পাবে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এ জন্য প্রায় পাঁচ কোটি নতুন বই ছাপতে হবে। বাড়তি এই বই ছাপার কাজ চলমান ছাপাখানার সঙ্গে আরও কিছু ছাপাখানা যুক্ত করার পরিকল্পনা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের। সেই হিসেবে কালো তালিকায় থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো আবারো কাজ পাচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন, বড় ভুল করেনি এমন কিছু প্রতিষ্ঠানকে আবারও সুযোগ দেওয়া হবে। আর মুদ্রক সমিতি বলছে, কালো তালিকার প্রেসকে সুযোগ দিতেই এমনটা করা হচ্ছে।
পুরনো শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণিতে এক বই পড়ানো হলেও নতুন কারিকুলামে দুই শ্রেণিতে থাকছে আলাদা বই। সেই হিসেবে আসছে বছর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে একেবারে নতুন কারিকুলামের বই। সেই বইয়রে সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে পাঁচ কোটি।
এনসিটিবির হিসেবে প্রতিবছর প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব বই ছাপতে কাজ করে প্রায় ৪০ থেকে ৬০টি প্রতিষ্ঠান। একেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে প্রায় ৩৫ বই ছাপার কাজ করে। আসছে বছর বইয়ের সংখ্যা বেশি। তাই ছাপাখানা বাড়ানোর পরিকল্পনা পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রেসকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারি। কিন্তু কোনো মানুষকে পারিনা, এটা আইনে নাই। কালো তালিকা ভুক্ত প্রেসগুলোর মালিকারা নিজের স্বজনের নামে ঠিকানা পরিবর্তন করে আবারও কাজ করছে। এক্ষেত্রে নানা জটিল অভিজ্ঞতার পর আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা প্রথমে প্রেসগুলোকে সতর্ক করছি।
তিনি বলেন, পাঁচ কোটি বই ছাপতে যদি পর্যাপ্ত প্রেস না থাকে তাহলে আমরা কতগুলো বারডেনে পড়তে পারি।
পাঠপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দিতেই নিয়মের সহজ করা হচ্ছে। এতে করে সুযোগ পাবে কালো তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, এই কাজের জন্য ৮৮টি প্রেস থাকলেও ক্যাপাবল ৪০টি প্রেসই যথেষ্ট। সবাই মিলে কাজ করলে দ্রুত হওয়া সম্ভব। চেয়ারম্যানের বক্তব্য হয়তো কাউকে রক্ষার জন্য।
চলতি বছর প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কোটি বই দেওয়া হয়েছে। আসছে বছর দশম শ্রেণি পাঁচ কোটি বই যুক্ত হলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪০ কোটি।