মেলেনি মূল্যবান জিনিসপত্র, ক্ষোভে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাসায় ঢুকে কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. আব্দুল্লাহ, চাঁন মিয়া, আয়নাল ও মো. মতিন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইলসহ একটি দেশি ওয়ান শুটার গান, একটি শাবল, একটি দা, দুটি রামদা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি।
আজ সোমবার (২০ মে) কারওয়ান বাজার কার্যলয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যমে শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ১৫ মে রাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জানা গেছে তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। এ চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ। এই চক্রে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য রয়েছে। আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে তারা ১ থেকে ২ বছর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।
ঘটনার বর্ণনায় ওই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা গত ১৫ মে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ডাকাতির উদ্দেশে ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তারা। সেসময় ভুক্তভোগী ও তার মায়ের ঘুম ভেঙে গেলে তারা ভয়ে চিৎকার করেন। পরে গ্রেপ্তাররা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘরের দরজা খুলে দিলে চাঁন মিয়া ও আয়নালসহ বাকিরা দেশিয় অস্ত্রসহ ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীর মাসহ ঘরে উপস্থিত সকলের হাত, পা ও মুখ বেধে ফেলে।
পরে ঘরের ভেতর মূল্যবান জিনিসপত্র না পেয়ে ক্ষোভে তারা হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় কিশোরীকে তাদের বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখ ওড়না দিয়ে পেচিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। যাওয়ার সময় তারা এই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে তার পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেয়। ঘটনায় মামলা দায়ের করলে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।