ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় বই পড়ে সময় কাটান সালমান, আনিসুলের কোনো চাওয়া-পাওয়াই নেই

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারটি মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯ জুলাই, ২০২৫
ধর্মীয় বই পড়ে সময় কাটান সালমান, আনিসুলের কোনো চাওয়া-পাওয়াই নেই ছবি : সংগৃহীত।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারটি মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মুক্তি পাওয়ার পর এখন সেখানে আছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।


কারাগারে থাকা এসব ভিআইপি বন্দিদের দৈনন্দিন সময় কাটে আদালতে যাওয়া-আসা, বই ও পত্রিকা পড়া, নামাজ পড়া, শুয়ে-বসে থাকা এবং হাঁটাহাঁটির মধ্য দিয়ে। প্রত্যেকে একটি করে চেয়ার, টেবিল, বেড ও পত্রিকা পাচ্ছেন। তবে এখানে টিভি নেই, যা অন্য কারাগারে আছে। ভিআইপিরা টিভিসহ আরও কিছু সুবিধা চেয়েও কারা কর্তৃপক্ষের বিধি মেনে আপাতত সেগুলো পাচ্ছেন না।


বিশেষ কারাগারটি গত ২১ জুন থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। ধাপে ধাপে এখানে স্থানান্তর করা হচ্ছে ভিআইপি ও সাধারণ বন্দিদের। বর্তমানে এখানে ৯৫ জন বন্দি আছেন, যাদের মধ্যে ৪৮ জন ভিআইপি। সাধারণ বন্দিরা ভিআইপি বন্দিদের সেবা দিচ্ছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের ওয়ার্ড থেকে বের হতে দেওয়া হয় না, প্রয়োজনীয় সামগ্রী সেবকদের মাধ্যমে আনা হয়।


ভিআইপি বন্দিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, আমির হোসেন আমু, সাধন চন্দ্র মজুমদার, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।


সালমান এফ রহমান দিনের বেশির ভাগ সময় ধর্মীয় বই পড়ে কাটান। আদালতে প্রায় নিয়মিত যাওয়ার কারণে সেখানেই সময় কাটে তার। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করেন। তিনি নতুন পর্দা, পৃথক ওয়াশরুম ও গোসলখানা চেয়েছেন, তবে কারাবিধি না মেনে তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।


সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান কারা কম্পাউন্ডে হাঁটতে চান, কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে সেটি নিষিদ্ধ। তবে তার ভবনের ওয়াকওয়েতে হাঁটার অনুমতি আছে। আতিকুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব একসঙ্গে হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করেন।


জুনাইদ আহমেদ পলক কোমরব্যথার কারণে বেল্ট পরেন এবং আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন। উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন, বই চাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আনিসুল হক সাধারণত চুপচাপ থাকেন এবং কোনো দাবি করেন না।


অন্যদিকে, আমু ওমর বেশির ভাগ সময় শুয়ে-বসে থাকেন, শাহজাহান ওমর ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অধিকাংশ সময় বই পড়েন। মানিক অসুস্থ থাকায় চিকিৎসাধীন। ফরহাদ হোসেন বই পড়া ও হাঁটাহাঁটি পছন্দ করেন এবং নতুন বই চেয়েছেন। ডা. এনামুর রহমান হার্ট সমস্যা নিয়ে বেশির ভাগ সময় বিশ্রামে থাকেন।


অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) জাহাঙ্গীর কবির জানান, কারাবিধি অনুযায়ী বন্দিদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা হাঁটাহাঁটি করেই সময় কাটাচ্ছেন।


thebgbd.com/NA