সাধারণ জ্বর হলো শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়া, যা সাধারণত কোনো সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটে। জ্বর থাকলে শরীর রোগ প্রতিরোধের জন্য লড়াই করছে—এটি এক প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
সাধারণ জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে বেড়ে ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি হওয়া। জ্বর শুরু হলে ঠান্ডা লাগা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অজ্ঞান বা ঘাম হওয়া, মাথাব্যথা, শীতে কাঁপুনি বা মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
জ্বর সাধারণত সৃষ্ট কারণ অনুসারে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, সর্দি-কাশি, ফ্লু, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ইত্যাদি অনেক সময় জ্বরের জন্য দায়ী।
শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র (থার্মোমিটার) ব্যবহার করতে পারেন। কপাল, কুঁচকিতে, বা মুখের ভেতর থেকে তাপমাত্রা নেওয়া যেতে পারে।
জ্বর থাকলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর তরলপান, হালকা খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজনে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি জ্বর, দীর্ঘদিন চলা জ্বর বা অন্য কোনো গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সাধারণ জ্বর বুঝতে পারলে সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন এবং যেকোনো জটিলতা এড়াতে পারবেন।
https://thebgbd.com/BYB