তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষে কিছু বিষয়ে দুই দেশ মোটামুটি একমত হয়েছে, যদিও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আলোচনা হয়েছে উভয় দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের দিকনির্দেশনা ও নীতিনির্ধারণ নিয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন সময় শুক্রবার সকাল ৯টায় তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হবে।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন একান্তে বৈঠক করেন ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসাডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে। গ্রিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী-স্তরের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আলোচনায় শুল্ক কাঠামো ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ ধারা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক নীতিতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে এবং চায়, প্রতিযোগিতার পরিবেশ বাংলাদেশর জন্য সহনীয় ও সমতাভিত্তিক হোক।
জেমিসন গ্রিয়ার বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা।
https://thebgbd.com/BYB