ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘অপরাধ বেড়েছে’—গণমাধ্যমের দাবি পুরোপুরি সত্য নয়: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে অপরাধ বৃদ্ধির খবর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, এই তথ্য পুরোপুরি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জুলাই, ২০২৫
‘অপরাধ বেড়েছে’—গণমাধ্যমের দাবি পুরোপুরি সত্য নয়: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ছবি : সংগৃহীত।

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে অপরাধ বৃদ্ধির খবর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, এই তথ্য পুরোপুরি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সোমবার (১৪ জুলাই) কার্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে “অপরাধের ঢেউ” নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলোর বিপরীতে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পুলিশের আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান বরং অপরাধ পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।


১০ মাসের পরিসংখ্যান যেভাবে বলছে:


হত্যা: ৩,৫৫৪টি (সর্বোচ্চ: ৫৮৩টি – ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর, সর্বনিম্ন: ২৯৪টি – ২০২৫ সালের জানুয়ারি)


ধর্ষণ: ৪,১০৫টি (সর্বোচ্চ: ৫৩৭টি – ২০২৫ সালের এপ্রিল)


অপহরণ: ৮২৯টি


চুরি: ৭,৩১০টি


ডাকাতি: ৬১০টি


এসিড নিক্ষেপ: ৫টি


মোট মামলা: ১,৪৪,৯৫৫টি


বিবৃতিতে বলা হয়, হত্যাকাণ্ড, সশস্ত্র ছিনতাই বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে সামগ্রিকভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো বৃদ্ধি দেখা যায়নি। কিছু ক্ষেত্রে অপরাধের সংখ্যা বাড়লেও, সেটিকে সামগ্রিক অপরাধ বৃদ্ধির প্রতিফলন বলা যাবে না।


বাস্তবতা ও নাগরিক দায়িত্ব


পোস্টে আরও বলা হয়, “নাগরিকদের সতর্ক থাকা অবশ্যই জরুরি; তবে আতঙ্ক নয়, বরং বাস্তবচিত্র বুঝে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। পুলিশ বাহিনী বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।”


বিবৃতির সঙ্গে সংযুক্ত টেবিলে গত পাঁচ বছরের অপরাধ প্রবণতা এবং সর্বশেষ ১০ মাসের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়, যা পুলিশের নিজস্ব রেকর্ডের ভিত্তিতে তৈরি।


প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় মনে করে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও তথ্যনির্ভর বিশ্লেষণই জনমনে অমূলক ভীতি দূর করতে পারে।


thebgbd.com/NA