ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পাঞ্জাবে বন্যায় একদিনেই ৬০ জনের মৃত্যু

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ পরিস্থিতি অবনতির কারণে রাওয়ালপিন্ডি, চাকওয়ালসহ একাধিক জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৮ জুলাই, ২০২৫
পাঞ্জাবে বন্যায় একদিনেই ৬০ জনের মৃত্যু ফাইল ছবি

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রবল বর্ষণ ও ভয়াবহ বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) একদিনেই অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঞ্জাব সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান চলছে। 


রয়টার্সের বরাতে দেশডিট সংবাদ মাধ্যম একপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, ২৬ জুন মনসুন মৌসুম শুরুর পর থেকে পাঞ্জাবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০৩-এ দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯৩ জন। এনডিএমএ জানিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডি, চাকওয়ালসহ অন্যান্য প্লাবিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।


পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ পরিস্থিতি অবনতির কারণে রাওয়ালপিন্ডি, চাকওয়ালসহ একাধিক জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া বার্তায় বলেন, ‘অভূতপূর্ব ঝড়বৃষ্টি ও বন্যার কারণে পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিয়ে কাজ করছে।’


রেডিও পাকিস্তানের মতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুর্গম এলাকায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছে এবং বন্যাকবলিত অঞ্চলের বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিপ্রবণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের লাইফ জ্যাকেটসহ জরুরি ত্রাণ সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে।


চাকরি রাজান গ্রামে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, চাকওয়াল ও খানপুর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৭ জনকে। এছাড়া চাক মোনজো থেকে ১০ জন, ধোক ভাদর থেকে ৩১ জন এবং দারাপুর এলাকা থেকে ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।


সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র বন্যা ও ভবনধসের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির ছাদ ধসে পড়ায়।


সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন


thebgbd.com/NIT