গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে যেন নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের হয়রানি না করা হয়—এমন আহ্বান জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) সকালে শহরের বড়বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এই অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ১৬ জুলাই এনসিপির পূর্বঘোষিত সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকারি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে এবং পরে পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এমনকি সমাবেশ শেষে এনসিপির নেতাদের ওপর হামলার চেষ্টাও করা হয়। পাল্টা ধাওয়ার সময় সংঘর্ষে অনেকেই হতাহত হন।
জেলা বিএনপির দাবি, ওই ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদরসহ জেলার পাঁচটি থানায় একাধিক মামলা হলেও অনেক নিরীহ নাগরিককে হয়রানির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
বিএনপি আরও অভিযোগ করে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের তৈরি করা তোরণগুলোও ভাঙচুর করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জেলা বিএনপি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও জেলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আওয়াজ তুলবে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব কাজী আবুল খায়ের, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, কে এম বাবর, এম এ সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার শহিদুল ইসলাম (লেনিন), যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।
thebgbd.com/NA