ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে সপ্তাহান্তে আকস্মিক বন্যায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার হ্যানয় থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছে।
ভিয়েতনামের কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, শনিবার রাতে সন লা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে ২২টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এই দুর্যোগে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার পাঁচ জন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ৪৪৫ একর (১৮০ হেক্টর) এরও বেশি ফসল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং ২ হাজার ৬শ’ গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি বন্যার পানি তোড়ে ভেসে গেছে।
ভিয়েতনাম গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের ঝুঁকিতে রয়েছে, যার কারণে প্রায়শই মারাত্মক আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। মানবসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ধ্বংসাত্মক বন্যার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে। গত সপ্তাহে, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় উইফা দেশটির কেন্দ্রীয় এনঘে আন প্রদেশে তিন জন নিহত ও প্রায় ৪ হাজার বাড়িঘর প্লাবিত করে।
১৯ জুলাই ভিয়েতনামের ইউনেস্কো এলাকার হা লং বেতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় এবং অস্বাভাবিক আবহাওয়ার কারণে একটি পর্যটক নৌকা উল্টে বেশ কয়েকজন শিশুসহ ৩৯ জন প্রাণ হারায়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, টাইফুন ইয়াগি উত্তর ভিয়েতনামকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে, যার ফলে ৩৪৫ জন মানুষ মারা যায় এবং দেশটির আনুমানিক ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
সূত্র: এএফপি
এসজেড