ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গাজা নিয়ে স্টারমারের জরুরি বৈঠক

ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্টারমার আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তার পরিকল্পনাটি মিত্রদের সামনে উপস্থাপন করবেন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৯ জুলাই, ২০২৫
গাজা নিয়ে স্টারমারের জরুরি বৈঠক কিয়ার স্টারমার।

গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে আহ্বান করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লন্ডন থেকে এএফপি জানায়, স্টারমার সোমবার স্কটল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 


সোমবার ট্রাম্প বলেন, গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে খাবার দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করবে। জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলো সেখানে তীব্র দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির আশঙ্কা করেছে। তবে যুক্তরাজ্যের পরিকল্পনাটি টেকসই শান্তি অর্জনের ওপর বেশি মনোনিবেশ করা হয়েছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য লন্ডনের জন্য যে শর্তগুলো পূরণ করা প্রয়োজন, তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।


এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য বলেছে, ‘এতে হামাসের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না’। ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, সম্ভাব্য শর্তগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঘোষণার ধারাবাহিকতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহে তিনি জানান, ফ্রান্স হবে প্রথম জি-৭ দেশ, যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।


স্টারমারের দলের এমপি ও সদস্যরা একই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রতিশ্রুতি লেবার পার্টির গত বছরের নির্বাচনী ইশতেহারেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। মার্কিন প্রশাসন ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেও সোমবার ট্রাম্প বলেন, ‘তার (স্টারমার) অবস্থানের বিষয়ে আপত্তি করছি না।’ স্টারমার গত সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘যা কিছু দেখছি, তা মর্মান্তিক ও নির্মম’।


তিনি আরও বলেন, ‘জিম্মিদের আটকে রাখা, ফিলিস্তিনি জনগণকে অনাহারে রাখা ও মানবিক সহায়তা প্রদানে অস্বীকার, চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বৃদ্ধি এবং গাজায় ইসরায়েলের অনুপাতহীন সামরিক অভিযান—এই সবই অকাট্যভাবে নিন্দনীয়।’


স্টারমার বলেন, ‘তিনি একটি শান্তির পথরেখা তৈরিতে কাজ করছেন, যা যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী শান্তিতে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া এই পদক্ষেপগুলোর অন্যতম বিষয় হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্ব্যর্থহীন।’ ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্টারমার আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তার পরিকল্পনাটি মিত্রদের সামনে উপস্থাপন করবেন।


সূত্র: এএফপি


এসজেড