ঢাকা | বঙ্গাব্দ

উগান্ডা ও দক্ষিণ সুদানের সংঘর্ষ

হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ‘ঝোপঝাড়’ জঙ্গল, ধর্মীয় প্রাঙ্গণ ও স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে’।
  • অনলাইন ডেস্ক | ৩০ জুলাই, ২০২৫
উগান্ডা ও দক্ষিণ সুদানের সংঘর্ষ দক্ষিণ সুদানের সরকারি সেনা।

দক্ষিণ সুদানের ক্ষমতাসীন দলকে তার অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সমর্থন জানিয়ে আসা উগান্ডার সেনাবাহিনী দেশটির স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জুবা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।


উগান্ডা দীর্ঘদিন দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের সামরিক সমর্থক এবং দেশটি মার্চ মাসে ঘোষণা করে, তারা দেশে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে। কিরের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রিক মাচার ও মাচারের জাতিগত নুয়ের সম্প্রদায়ের মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় তারা তাকে সমর্থন জানায়। কিন্তু সোমবারের সংঘর্ষ উগান্ডার পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (ইউপিডিএফ) এবং তাদের অভিন্ন সীমান্তের কাছে সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়া রাজ্যে সরকারি বাহিনীর বিচ্ছিন্ন একটি স্থানীয়  অংশের মধ্যে বলে ধারনা করা হচ্ছে।


দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দক্ষিণ সুদান এবং উগান্ডার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজো কেজি কাউন্টিতে গুলি বিনিময় করেছে।’ সেনাবাহিনী বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান তার উগান্ডার প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাতে শত্রুতা বন্ধ হয় এবং সংঘর্ষ কীভাবে শুরু হয়েছে- তার তদন্ত শুরু করা যায়।


কাজো কেজি কাউন্টির প্রতিনিধিদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউপিডিএফের আক্রমণে উভয় পক্ষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।’ প্রতিনিধিরা বলেন, হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং ‘ঝোপঝাড়’ জঙ্গল, ধর্মীয় প্রাঙ্গণ ও স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে’।


দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা লাভের দুই বছরের মধ্যেই ২০১৩ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে, উগান্ডা দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের সমর্থনে সেনা পাঠায়। কিরের ও মাচারের মধ্যে যুদ্ধ পাঁচ বছর স্থায়ী হয় এবং ২০১৮ সালে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি হওয়ার আগে প্রায় ৪ লাখ লোক নিহত হয়। কিরের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে মাচারকে পাশে সরিয়ে রাখার ফলে এই চুক্তি প্রায় চাপা পড়ে গেছে, যা নতুন করে জাতিগত সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।


উগান্ডার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুদানের উত্তর-পূর্বে নুয়ের মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র, বিশেষ করে ব্যারেল বোমা ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। উগান্ডা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড