কেটে ফেলা হবে মেহেরপুরের রাস্তার দুই পাশের প্রায় দেড় হাজার গাছ। সড়ক প্রশস্ত করার কারণ দেখিয়ে সড়ক বিভাগের চিঠির বিপরীতে গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য এরইমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা পরিষদ। এর আগেও প্রকল্পের বরাত দিয়ে তালিকার বাইরে অতিরিক্ত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গাছগুলোকে রক্ষা নতুবা নতুন গাছ লাগানোর দাবি এলাকাবাসীর।
এদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছগুলো রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছোঁয়ার অন্যতম কারণ হিসেবেও গাছ কাটাকে দূষছেন পরিবেশকর্মীরা। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর নতুন করে বনায়ন করা হবে বলে জানাচ্ছে সড়ক বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর থেকে মুজিবনগর সড়কের দুই পাশে শোভা পাচ্ছে সারি সারি গাছ। বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে এখানে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং পথচারীদের নানা সুবিধায় এই গাছগুলো যেন অমূল্য সম্পদ।
কিন্তু এরইমধ্যে গাছগুলো কেটে ফেলতে জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ২১ কিলোমিটার রাস্তার পাশের ১,৪৪০টি গাছ কাটতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আলাদা দুটি চিঠিতে মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা সড়কে ৬ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে দুপাশের গাছগুলো এবং মেহেরপুর থেকে মুজিবনগর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তার সঙ্গে লাগোয়া গাছগুলো কেটে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক বিভাগ।
তালিকা অনুযায়ী মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কে ৭৭৬ টি এবং মেহেরপুর মুজিবনগর সড়কে ৪৬৪টি গাছ কাটা পড়বে। গাছগুলো অপসারণের জন্য জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে।
আর সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, এর আগে বাছাই করে কাটার ফলে পুনরায় গাছ লাগানো হয়নি। গাছ রক্ষা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এমন কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানান। তবে এবার প্রকল্প বাস্তবায়নের পর বনায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
বন বিভাগের তথ্যমতে, গেল ১০ বছরে মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন সড়কে ১৪ হাজার গাছ কাটা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য আড়াই কোটি টাকা।