নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের দ্বিতীয় জানাজা হয়েছে। গতো মঙ্গলবার (২১ মে) দেশটির কেন্দ্রীয় শহর কওমে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত হন লাখ লাখ মানুষ।
এদিন সকালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে প্রথম জানাজা হয়। সেখানেও বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়।
কওমের জানাজা শেষে রাইসির মরদেহ তেহরানে নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২২ মে) জানাজাসহ অনুষ্ঠানিকতা শেষে রাইসিকে জন্মস্থান মাশহাদে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দাফন করার কথা রোয়েছে।
গত শনিবার (১৮ মে) আজারবাইজান সফরে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। গত রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তিনি দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। পরে হেলিকপ্টারটিতে থাকা সব আরোহীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে ইরান সরকার। অবশ্য অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
এদিকে, রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়া দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনা তদন্তে উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধিদলকে দায়িত্ব দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।
বর্তমানে ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মোখবার। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। আর ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আলী বাঘেরি কানিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
