ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভিডিও করায় সাত সাংবাদিককে বেধরক পিটুনি

শরীয়তপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ভিডিও ধারন করার সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় সাত সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
  • | ২২ মে, ২০২৪
ভিডিও করায় সাত সাংবাদিককে বেধরক পিটুনি সংগৃহীত

শরীয়তপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ভিডিও ধারন করার সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় সাত সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।


গত মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে জেলার জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।


আহত সাংবাদিকরা হলেন- বার্তা বাজারের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়, যায়যায়দিনের ইমরান হোসাইন, দৈনিক সংবাদের পলাশ খান, দৈনিক জবাবদিহির সুজন মাহমুদ, ঢাকা ক্যানভাসের বরকত মোল্লা, বাংলাদেশ সমাচারের রুহুল আমিন ও দৈনিক কালবেলার আব্দুর রহিম। 


আহত সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, 

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী। 


বেলা ১১ টার দিকে ওই কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা প্রকাশ্যে ভোট দিতে ভোটারদের চাপ দিয়ে ভোট নিচ্ছিলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রে কয়েকজন সাংবাদিক ভিডিও ধারন করেন। এসময় মোটরসাইকেল প্রতীকের ব্যাচ পড়া এক ব্যক্তি তাদের প্রথমে বাঁধা দেয় এবং পরে সাংবাদিকদের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।

এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাদের ছাড়াতে গেলে অন্তত ৫০ জন তাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। তিন জনকে গুরুতর অবস্থায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 



তার অভিযোগ, পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে তারা এগিয়ে আসেনি।

একই অভিযোগ করেন আহত আরেক সাংবাদিক বরকত মোল্লা ও ইমরান হোসেন। তারা বলেন, আমাদের ওপর যখন হামলা চালানো সময় প্রশাসনের কাছে হাতজোড় করে বাঁচাতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা তখন সরে যায়। কেউ আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।


জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, এখানে বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। এদের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া একজনের নাক দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। তার অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকায় পাঠানো হবে।


এ ব্যাপারে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, জেলা প্রশাসকসহ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। আহতরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।