ফিলিস্তিনকে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড সরকার। ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস।
এ সময় তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো দুই সদস্য নরওয়ে এবং স্পেনও খুর শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। খবর তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ'র।
ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও দ্রুত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার অনুরোধ করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনের পরই দ্রুত ফিলিস্তিনতে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড।
এর আগে মে মাসের শেষের দিকে তার দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে ঘোষণা দেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস।
এ বছরের ২২ মার্চ আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিবৃতি দিয়ে বলে, তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
তাদের যুক্তি, এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অপরিহার্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইরিশ সরকার জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ ৮ মে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ বাহামাস।
মূলত ২০১২ সালে ফিলিস্তিন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি পায়। তখন দেশটির দূতকে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়, তবে কোনো ভোট দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
১৮ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের অনুরোধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ওই ভোটে ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিল ১২টি রাষ্ট্র। ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড।