প্রশ্ন: দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আসার ব্যাপারে কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়েছে কি না?
মির্জা ফখরুল: সময় নির্ধারণ এখনো হয়নি। এখনো তাঁর নামে একটি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাটি চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে গেলে তিনি শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন বলে আমরা আশা করছি।
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর দেশের রাজনীতিতে ডানপন্থিদের উত্থান হতে যাচ্ছে। আপনি কী মনে করেন?
মির্জা ফখরুল: আমিও এটা দেখে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। আমি বাংলাদেশকে সব সময় একটা সত্যিকার অর্থে উদারপন্থি গণতান্ত্রিক হিসেবে দেখতে চাই এবং এখানে গণতন্ত্র হবে সবচেয়ে বড় বিষয়। সে জায়গায় যদি এখন এমন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হয়, যারা গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে না। পরিষ্কার ঘোষণা দিয়েই করে না। আবার তারা নিজেরা জোর করে চাপিয়ে দিতে চায় মতবাদ, এটা নিঃসন্দেহে অ্যালার্মিং সিচুয়েশন। কিছু কিছু দলের মধ্যে এমনও কথা আছে যে মহিলাদের তারা কিছুতেই সামনে আনতে চায় না। মহিলাদের তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা তো দূরের কথা, সামাজিক ক্ষমতায়নও করতে চায় না। এসব দলের যদি উত্থান হয় এ দেশে, তাহলে তো পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।
প্রশ্ন: ভিন্নমতের দমন দেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটাতে পারে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এমন উত্থানের কিছু কিছু আলামতও এখন প্রকাশ পাচ্ছে। এর দায় কাকে দেবেন?
মির্জা ফখরুল: এ দায় সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের। এক নম্বরে শেখ হাসিনা দায়ী। আমরা বারবার তাঁকে সতর্ক করেছি, ওই দেশকে সতর্ক করেছি যে একটি সেন্ট্রিস্ট দল, গণতান্ত্রিক দল বিরোধী দলকে (বিএনপি) কখনোই দমন করে শেষ করে দিয়েন না। তাহলে ডানপন্থিদের উত্থান হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না। আজকে ঘটনাটা সেদিকেই যাচ্ছে।
প্রশ্ন: দেশ, জনগণ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আপনার শেষ আহ্বান কী?
মির্জা ফখরুল: দেশবাসীর কাছে আমার একমাত্র আবেদন-দেশকে ভালোবাসুন, গণতন্ত্রকে তার গতিতে চলতে দিন এবং আইন নিজের হাতে না তুলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে দিন।
thebgbd.com/NIT