সূচকের বড় পতনে ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে ঢাকার পুঁজিবাজার। দৈনিক লেনদেনে হারাচ্ছে মূলধন। আর এমন অস্থিরতায় গত ১৪ কার্যদিবসে প্রায় ১১ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট খালি করে বাজার ছেড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদহার বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ছাড়ছেন বলে মনে করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
টানা দরপতনে ধুঁকছে দেশের পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নানা উদ্যোগে কাটানো যাচ্ছে না অস্থিরতা। সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধনও হারাচ্ছে ডিএসই।
চলতি মাসের ১৪ কার্যদিবসেই ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২৪৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। গত মঙ্গলবার (২১ মে) সূচক নেমে আসে ৫ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে। যা গত ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল এই সূচক ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে নেমেছিল।
এমন বাস্তবতায় পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সেই তথ্য দিচ্ছে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। দেখা যাচ্ছে, গত ১৪ কার্যদিবসে ১০ হাজার ৯৮৮ বিও অ্যাকাউন্ট শূন্য করে পুঁজিবাজার ছেড়ে গেছেন বিনিয়োগকারীরা।
তাদের দাবি, শেয়ার কিনে লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই অনেকেই পুঁজিবাজার ছেড়ে যাচ্ছেন।
ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অপেক্ষাকৃত বেশি সুদহার বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির পুঁজিবাজার বিমুখ করছে বলে মনে করে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী।
তিনি বলেন,সুদের হার বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দিকে ছুটছেন। এতে কমছে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা।
পুঁজিবাজারের এমন উত্থান-পতনের মধ্যে আসছে বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নানা উদ্যোগের কথা।
জানাচ্ছে ডিএসই ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে এতে বাজার কতটা ঘুরে দাঁড়াবে তা দেখার অপেক্ষায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।