ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মাভাবিপ্রবি ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা

টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী ঘোষপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রী মেসের বাথরুমে ক্যামেরা স্থাপন করে গোপন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে মেস মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে।
  • | ২৩ মে, ২০২৪
মাভাবিপ্রবি ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী ঘোষপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রী মেসের বাথরুমে ক্যামেরা স্থাপন করে গোপন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে মেস মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় ব্যবস্থা নেয়ার ভার পুলিশের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশও।


গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মালিকের ছেলে তুহিন সরকারের বিচারের দাবিতে ওই মেসের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে ভ্যানে করে বিছানাপত্র নিয়ে প্রক্টরের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। পরে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।


শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৭ মে রাতে বাথরুমে গোসল করার সময় বাথরুমের জানালায় লাঠি জাতীয় কিছুর সঙ্গে ক্যামেরা দেখতে পান তারা। মেস মালিকের ছেলে ছাদ থেকে বাথরুমের ভেন্টিলেটরে মোবাইল ক্যামেরা স্থাপন করে গোপনে মেয়েদের ভিডিও ধারণ করতেন। এক পর্যায়ে মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী ভিডিও করার দৃশ্য দেখে ফেলেন। ক্যামেরা দেখে ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করে অন্য মেয়েদের ডাকেন।


পরে তারা ছাদে গিয়ে দেখতে পান মেস মালিকের ছেলে তুহিন সরকার পানির ট্যাংকের আড়ালে লুকিয়ে আছেন। এ ছাড়া ছাদে লাঠির সঙ্গে দড়ি ও ক্লিপ জাতীয় কিছু দেখতে পান তারা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেসে অবস্থানরত ছাত্রীরা। ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাকিল মাহমুদ শাওনকে অবহিত করলেও তিনি শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতা ও অশোভন আচরণ করেন। এতে তারা প্রক্টরের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন।


শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে এবং বেশ কিছু দাবিতে ভিসি বরাবর একটি স্মারক লিপি দেয়া হয়েছে।

 

অভিযুক্ত মেস মালিকের ছেলেকে দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ প্রক্টরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 

এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির প্রক্টর শাকিল মাহমুদ শাওনের ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ঘটনা। তাই পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।


তবে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত ছেলের অভিভাবক ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে থানায় ডেকে এনেছি। তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।